একটা সময় ছিল যখন নোকিয়া ১১০০ বা এই জাতীয় ফোনের চল ছিল সেই সময়টায় সপ্তাহে এক-দুই দিন ফোন চার্জে দিলেই হয়ে যেত। বর্তমান যুগ স্মার্টফোনের যুগ। স্মার্টফোন আমাদের দিয়েছে এক্সাইটিং সব ফিচার। কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারের অন্যতম বড় সমস্যা দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া।কিন্তু ছোটোখাটো কিছু ট্রিকস ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা স্মার্টফোনের চার্জ দীর্ঘস্হায়ী করতে পারি।
১.ব্ল্যাক ওয়ালপেপার ব্যবহার:স্মার্টফোনে সাধারণত amoled স্ক্রিন ব্যবহৃত হয়।amoled স্ক্রিন শুধু কালারড পিক্সেল আলোকিত করে।এক্ষেত্রে আমরা কালো বা ডার্ক কালারের ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারি, কারণ ডার্ক ওয়ালপেপারে কালারড পিক্সেলের সংখ্যা কম।ফলে স্ক্রিন আলোকিত করতে চার্জ কম লাগবে। আরেকটি ব্যাপার, লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করাই ভালো।
২.স্ক্রিন টাইম যথাসম্ভব কম রাখা:বিবিসি এক পরিসংখ্যানে বলেছে,একজন স্মার্টফোন ইউজার গড়ে ১০০ বারের উপর তার স্মার্টফোন ওপেন করে। সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত হবে স্ক্রিনটাইম যথাসম্ভব কম রাখা।
৩.হোম লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন ব্যবহার: হোম লক স্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ থেকে আসা নোটিফিকেশনগুলো স্ক্রিন অন না করেই দেখা যাবে,যা চার্জের স্হায়িত্ব বাড়াবে।
৪.অ্যাপসমূহ আপডেটেড রাখা: যে কোনো অ্যাপের আপডেটেড ভার্সন সবসময় আগেরটার চেয়ে ভালো হয়, চার্জ ব্যবহারের দিক থেকেও সাশ্রয়ী হয়। সেজন্য অ্যাপসমূহ আপডেটেড রাখতে হবে। পাশাপাশি পুরান অব্যবহৃত অ্যাপ আনইনস্টল করে দিতে হবে।
৫.ব্যাটরি সেভিং মোড ব্যবহার: প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোনেই ব্যাটরি সেভিং অপশন থাকে যার ব্যবহার দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬.কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপ:greenify,go battery,du battery saver, avast battery saver-এই অ্যাপগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে চার্জ দীর্ঘস্হায়ী করতে সাহায্য করে।
৭.অন্যান্য :ব্যবহারের সময় ছাড়া জিপিএস, ওয়াইফাই,মোবাইল ডাটা,ব্লুটুথ অফ রাখা।
Leave a Reply